আজ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামের গার্মেন্টস ভবন পরিদর্শন শুরু

    0
    430

    ঢাকা, ০৩মে : আজ শুক্রবার থেকে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের গার্মেন্টস ভবন পরিদর্শন শুরু করছে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত আটটি তদন্ত দল। আর যাতে কোনো পোশাকশিল্প বন্ধ না হয়, সে জন্য রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের পোশাক কারখানা পরিদর্শনে নামানো হচ্ছে। একই সঙ্গে সারাদেশের পোশাক কারখানাগুলো তদন্ত করতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জারুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজু, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর প্রতিনিধি, রাজউক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
    বৈঠক শেষে সাভারের ভবনধসের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইন উদ্দিন খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনার পর সারাদেশে পোশাকশিল্পে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ কারণে অনেক জেলা ও থানায় বিনা কারণে প্রশাসনিকভাবে পোশাক কারখানা বন্ধ করা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। এছাড়া ১৬০টি কারখানায় ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেগুলো সরেজমিন তদন্ত করা হবে।
    এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে নীট খাতের পোষাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এক রানা প্লাজার ধসের ঘটনার জন্য অন্যায়ভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পোশাক কারখানা বন্ধ করছে প্রশাসন। এ কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আর এতে পোশাককর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, সরকার যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তাতে বিজিএমই ও বিকেএমইএর প্রতিনিধি থাকবেন।
    মোহাম্মদ হাতেম  অভিযোগ করেন, অনেক কারখানার ভবনের গায়ে চুনের ওপর ফাটল দেখা দিয়েছে, এ জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ কারখানাগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে এবং কারখানার মালিকদের হয়রানি করছে। তিনি বলেন, প্রশাসন যাতে অন্যায়ভাবে পোশাক কারখানা বন্ধ ও মালিকদের ভয় দেখাতে না পারে, সে জন্য আমরা মন্ত্রীর কাছে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছি।
    মাইন উদ্দিন বলেন, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর জেলায় অবস্থিত পোশাকশিল্পের ভবনগুলো জেলা প্রশাসকরা তদন্ত করবেন। তবে তারা কোনো কারখানা বন্ধ করতে পারবেন না। তারা দেখবেন পোশাক কারখানাগুলো আসলে বহুতল ভবন কি না,  কোনো ভাড়াবাড়িতে করা হয়েছে কি না। তা যদি করা হয়ে থাকে, সেগুলো খতিয়ে দেখবেন এবং তদন্ত শেষে সুপারিশমালা জাতীয় কমিটির কাছে পাঠাবেন। এরপর জাতীয় কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
    অতিরিক্ত সচিব বলেন, সারাদেশে চার হাজার ৭০০ পোশাক কারখানা রয়েছে। পোশাকশিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে কারা ইন্ধন দিচ্ছে, তা খুঁজে বের করা ও শনাক্ত করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অস্থিরতা নিরসনের জন্য শিল্প পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তারা কঠোর হস্তে তা দমন করবে। তিনি আরো বলেন, আমরা আজ বাপার সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের মতামত নেয়া হয়েছে।