আজ খ্রিষ্টানদের বড়দিনঃমুসলিমদের নবী ঈসার জন্মদিন

    0
    328

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫ডিসেম্বর,ডেস্ক নিউজঃ  আজ খ্রিষ্টানদের বড়দিন অপরদিকে বিশ্ব মুসলিমদের নবী হজরত ঈসা নবী আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম এর জন্মদিন।তবে সারা বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে সবচে’ বড় ধর্মীয় আনন্দ উৎসবের দিন হিসেবে পালন করে থাকে।এ উপলক্ষ্যে পৃথিবী থেকে হিংসা আর অশান্তি দূর করে সকল মানবজাতির জীবনে শান্তি আর কল্যাণ কামনায় সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।

    জেরুজালেমের কাছাকাছি বেথলেহেম নগরীর এক গোয়ালঘরে ২০১৭ বছর আগে আজকের দিনে (২৫ ডিসেম্বর) জন্ম নিয়েছিলেন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশু(ইসলাম ধর্মে তিনি হজরত ঈসা নবী আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম নামে পরিচিত আজ তারই পবিত্র জন্ম দিন)।

    তখনকার  সময়ে মানবজাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে এসেছিলেন যিশু। হিংসা, বিদ্বেষ, পঙ্কিলতার পথ থেকে মানুষকে উদ্ধার করে তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন ভালোবাসা, করুণা, মিলন ও সুন্দরের পথ। তাই তাঁর জন্মদিন শুধু খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য আনন্দবার্তা বয়ে আনেনি, সমগ্র মানবজাতির জন্যই দিনটি আনন্দের।

    যিশুর আহ্বান ও আত্মত্যাগ সব অশুভ ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে। যিশুর প্রচারিত আদর্শের বাণী সর্বকালে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর শান্তির বাণী শাশ্বত। আর্তপীড়িতদের প্রতি তিনি তাঁর শান্তির পরশ বুলিয়ে দিতেন। মতবাদ প্রচারের সময় অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন যিশু। কিন্তু কোনো নির্যাতন-নিপীড়নই তাঁকে সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।

    নিপীড়কের বিরুদ্ধে তিনি পাল্টা আঘাতের কথা বলেননি, ক্ষমা করে দিয়েছেন। মানুষকে ভালোবাসার, মানবতাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে গিয়ে তিনি ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার মতো মর্মান্তিক পরিণতির মুখোমুখি হয়েছেন।

    বর্তমান বিশ্বের যে অনিয়ম, দুর্নীতি, মারামারি, হানাহানি; তা দূর করার পাথেয় হতে পারে এই যিশুখ্রিষ্টের শাশ্বত সকলবাণী।

    সকল ধর্মই মানবতাকে ঊর্ধে তুলে ধরে। প্রতিটি ধর্মেরই মূলকথা মানবতাবোধ। তাই বড়দিন হোক সব পথভ্রষ্ট মানুষের শুভবুদ্ধি উদয়েরও দিন।

    যিশুখ্রিষ্টের পবিত্র জন্মতিথিতে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের শুভবুদ্ধি উদয়ের প্রার্থনা করছি এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এ উপলক্ষে ধর্ম-বর্ণ-জাতিনির্বিশেষে গোটা মানবজাতিরই কল্যাণ ও মুক্তি কামনা করি আমরা।

    যিশু যেমন তাঁর জীবনে অন্যায়-অত্যাচার, শোষণ থেকে মুক্ত করেছিলেন মানুষকে; যেভাবে মানুষের সব শোক-দুঃখের ভার গ্রহণের জন্য ত্যাগ করেছিলেন; তেমনই মানুষের মধ্যে মুক্তি ও ত্যাগের চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রত্যাশাই আমরা করি।

    যিশুর সংযম, সহিষ্ণুতা ও ভালোবাসাসহ সর্বশেষ ইচ্ছা ও প্রার্থনার শিক্ষা হোক সবার পাথেয়। বড়দিন প্রত্যেক মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করুক। পৃথিবী থেকে দূর হোক হিংসা ও অশান্তি। শুভ বড়দিন।