আজ থেকে এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা শুরু

    0
    231

    আমারসিলেট24ডটকম,০৩এপ্রিল আজ ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা।এইচএসসি,আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) থেকে ৫ জুন পর্যন্ত তত্ত্বীয় বিষয় এবং ৭ থেকে ১৬ জুনের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য জানান।মন্ত্রী বলেন, গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ জন অংশ নিয়েছিলেন। এই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ৭৯৩ জন।

    সংসবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম, মাদরাসা বোর্ডের চেয়ার‌ম্যান অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা।মন্ত্রী বলেন, এবার দুই হাজার ৩৫২টি কেন্দ্রে আট হাজার ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। গতবারের চেয়ে এবার ৩০১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৬৪টি পরীক্ষা কেন্দ্র বেড়েছে।

    এবার এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে নয় লাখ ২৪ হাজার ১৭১ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে এক লাখ সাত হাজার ৫৫৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম/ভোকেশনালে এক লাখ চার হাজার ৬৬৯ জন এবং ডিআইবিএসে চার হাজার ৯৭৭ জন পরীক্ষা দেবে বলে জানান নাহিদ।এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয় লাখ ছয় হাজার ২৯৩ জন ছাত্র এবং পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৮১ জন ছাত্রী।

    শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার বাংলা প্রথম পত্র, রসায়ন, পৌরনীতি, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা, সমাজ বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রেরসহ মোট ২৫টি বিষয়ে এবার সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। এইচএসসিতে ২০১২ সালে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়।

    আর ২০১৩ সালে বাংলা প্রথম পত্র, রসায়ন প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, পৌরনীতি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের সৃজনশীল পদ্ধতিতে হয়েছিল।সৃজনশীলে প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আশা করছি সৃজনশীল কোনো সমস্যা নয়। ছেলেমেয়েরা ভালোভাবেই শিখছে।

    তিনি বলেন, “ছেলেমেয়েদের পিছু টেনে রাখবেন না। সৃজনশীল পদ্ধতি অভিভাবকরা উপলব্ধি করছেন। আস্তে আস্তে এটা আয়ত্বে এসে যাবে। এতে পাঠ্যপুস্তক ভালোভাবে জানা হয়ে যায়।”পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে সেই সম্ভাবনা খুব কম জানিয়ে নাহিদ বলেন, এজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, অভিভাকরা তাদের ছেলেমেয়েদের পাস করার জন্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠান। কেউই চায় না কোনো শিক্ষার্থী ফেল করুক।“আশা করছি সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ছাড়া কেউই পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।” বলেন নাহিদ।

    এবারো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরতদের শ্রুতিলেখক নিযুক্ত করা যাবে বলে জানান মন্ত্রী।

    তিনি বলেন, শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী, বুদ্ধি ও শ্রবণপ্রতিবন্ধীরা অন্য সময়ের মতো এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন।এবারও পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।মন্ত্রী জানান, ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের পাঁচটি কেন্দ্রে ২০২ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে, এরমধ্যে ৯১ জন ছাত্র এবং ১১১ জন ছাত্রী।