আগামীকাল ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস

    0
    201

    আমারসিলেট24ডটকম,২৫এপ্রিলআগামীকাল শনিবার ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস। প্রতিবছরের মতো এবারও সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়াধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০১৪’ উদযাপন করছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।চলতি বছর ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) কর্তৃক এবারের বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুভিজ- এ গ্লোবাল প্যাশন’।
    বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশ এবং গবেষণাধর্মী বিষয়গুলোতে মেধাসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই মেধার উৎকর্ষ ও বিকাশে সৃষ্টিশীল ও উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত গুণীজনদের যথাযথ মূল্যায়ন ও তাদের কাজের স্বীকৃতিতে আমাদের আরও আন্তরিক হতে হবে।
    মেধা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত অমূল্য সম্পদ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যা কিছু অর্জন তার মূলে রয়েছে মেধাসম্পদের সদ্ব্যবহার ও সঠিক প্রয়োগ।মোঃ আবদুল হামিদ সভ্যতার অগ্রযাত্রায় দেশের মেধাসম্পদের যথাযথ বিকাশ ও সংরক্ষণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে দেয়া  বাণীতে বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে মেধাসম্পদ সুরক্ষার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
    তিনি এবারের বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের চলচ্চিত্র বিষয়ক এই প্রতিপাদ্য ‘মুভিজ- এ গ্লোবাল প্যাশন’- নির্বাচন সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘চলচ্চিত্র আজ শুধু বিনোদন ও শিক্ষার মাধ্যম নয়, এটি শিল্পও বটে। আমাদের সরকার চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছেন লেখক, পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা, সংগীত পরিচালক এবং অসংখ্য কলাকুশলী।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের চিন্তা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিল্প, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্ভাবন ও উন্নয়নের বিকাশ ঘটছে। এগুলোর সবকিছুই মেধাসম্পদের আওতাধীন- যা সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন কপিরাইট, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কের।
    তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০১৪-এর কার্যক্রমের মাধ্যমে মেধাসম্পদ রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণ আরো সচেতন হবেন। প্রধানমন্ত্রী দিবসটির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।