কাল বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে আফগানিস্তানের

    0
    243

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৭ফেব্রুয়ারী: বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আগামীকাল বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে আফগানিস্তানের। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ বলছেন, দলের মনোবল বেশ শক্ত, আর প্রস্তুতিও ভালোই হয়েছে।

    “দলের সেরা খেলোয়াড়রা সবাই ফিট আছে। কালকের দিনটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারলে আমরা খুব ভালোভাবেই জিতবো ইনশাল্লাহ” এক সাক্ষাতকারে সংবাদমাধ্যমকে বলেন মি. মাহমুদ।

    অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় এই খেলা হবে। আগামীকালের এই ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের প্রত্যাশা অনেক, কারণ টুর্নামেন্টের পরবর্তী পর্বে উঠতে হলে গ্রুপে বাংলাদেশকে অন্তত তিনটি বা তার বেশী ম্যাচ জিততেই হবে।

    বাংলাদেশের গ্রুপে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষের মধ্যে একটি হলো আফগানিস্তান, এমনটাই সাধারণভাবে মনে করা হয়।তবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত গত এশিয়া কাপে কিন্তু বাংলাদেশ আফগানিস্তানের কাছে হেরে গিয়েছিল।

    খালেদ মাহমুদ বলছেন, আফগানিস্তান ভালো দল, তাদের কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছেন এবং অন্য যে কোন প্রতিপক্ষের মতোই বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে সমীহের চোখে দেখে।

    “তারাও ম্যাচ জেতার ক্ষমতা রাখে, কিন্তু স্কিলের দিক থেকে বাংলাদেশ তাদের চাইতে অনেক ভালো দল।”

    “ম্যাচের জন্য চূড়ান্ত দল নির্বাচন করবেন কোচ এবং অধিনায়ক, তারা নিশ্চয়ই সেরা দলটাই বেছে নেবেন” – ক্যানবেরা থেকে টেলিফোনে বলছিলেন খালেদ মাহমুদ।

    আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশ টিম এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে সবার আগে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে পৌঁছায়। গত তিন সপ্তাহ ধরে অনুশীলনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্র্যাকটিস ম্যাচেও অংশ নিয়েছে দলটি।খালেদ মাহমুদ বলেন, খেলোয়াড়রা সবাই অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ এবং উইকেটের সাথে ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছে।

    “এখানে উইকেট ফাস্ট হলেও বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে দেখা গেছেেএশিয়ান দলগুলো সহ সবাই ভালো রান করেছে। পাকিস্তানের বোলারদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচেও ব্যাটসম্যানরা ভালেঅ রান করেছে।”

    তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার পৌছার পর প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর সবকটিতেই বাংলাদেশ হেরেছে। তবে এ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তায় নেই খালেদ মাহমুদ।

    “প্রস্তুতি ম্যাচগেুলোতে আসলে জেতার চাইতে দলের সবাইকে সুযোগ দেয়ার ওপরই বেশি জোর দেয়া হয়েছিল। তাই জয় না পেলেও দলের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। সমান সুযোগ পাওয়াটা সবার জন্যই উপকারী হয়েছে।”সুত্রঃবিবিসি