অাজও ভাগ্যের সন্ধান মিলেনি স্টেশন দরিদ্রদের

    0
    553

    স্টাফ রিপোর্টার,সাদিক অাহমেদঃ দীর্ঘ নয় (৯) মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ।বিশ্ব ভূখণ্ডে জন্ম নেয় নতুন একটি রাষ্ট্র বাংলাদেশ।দেখতে দেখতে একেক করে স্বাধীনতার ৪৬ টি বছর কাটিয়ে   ৪৭ বছরে পা রেখেছে নতুন স্বাধীন এই দেশটি।বিশ্ব ইতিহাসে দুর্বল নবগঠিত দেশ থেকে সব ধরণের বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে শত সংগ্রাম করে বর্তমানে বিশ্বে স্বল্প উন্নত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ।

    অাওয়ামীলিগ সরকারের ক্ষমতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী নেতৃত্বে বর্তমানে “উন্নয়নের অগ্রযাত্রার অধম্য বাংলাদেশ।
    শত উন্নয়নের মধ্যেও অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে অাজও ভাগ্যের সন্ধান খুঁজে পান নি স্টেশনের দরিদ্র এই মানুষগুলো।
    সময়টা দুপুর ২ টা।মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছে।হালকা শীতল হাওয়ায় প্রত্যকের দেহ শীতল হয়ে উঠলো।চোখ পড়লো হঠাৎ স্টেশনের প্লাটফর্মের ফ্লোরের দিকে।একজন না দুইজন বেশ কয়েকজন দরিদ্র, অনাথ,মিসকিন কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে অাচ্ছে স্টেশনের শীতল এই পাকা ফ্লোরে।কেউবা ছোট শিশু,কেউবা মহিলা কেউবা বৃদ্ধ। দুই একজন মোটামুটি কাঁপছিলেন।
    এভাবেই দিনের পর দিন অবহেলিত ভাবে পড়ে অাছে স্টেশনের এই মানুষগুলো।কিভাবে চলে তাদের জীবন জীবিকা?জানতে চাইলে কয়েকজন বলেন “এইরকমই চলছিরে বাপ! কে দেখবে? কেউ নাই অামাগো।কোনো মতে ২ বেলা খাই।যেখানে খাই সেখানেই ঘুমাই”।কয়েকজন বৃদ্ধার চোখে ভেসে উঠলো জলরাশি।
    সামনে ভরপুর শীতের সীজন।কিভাবে পার করবেন? জানতে চাইলে বলেন “সবই ভাগ্য।প্রতিবছর যেমনে কাটে এমনেই কাটবে বাবা”।
    স্টেশনের এই দরিদ্রদের নিয়ে অামার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম ২০১৬ সালের ৯জুন “স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও মানুষের চোখে অশ্রুর সমুদ্র ” শিরোনামে সংবাদ প্রচার করে।

    উক্ত সংবাদে অামার সিলেট পরিবার এসব দরিদ্রদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ও তাদের ভাগ্য উন্নয়নে সরকারের দৃষ্টি অাকর্ষণ করে।

    অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও অভাবে দারিদ্র্যতায় এই মানুষগুলোর চোখে ভেসে উঠছে জল।অভাব অনটনে অনেক কষ্টে দিন পার করে যাচ্ছেন স্টেশনের এই মেঝেতে।কোনোদিন দুইবেলা,কোনোদিন একবেলা এমনকি কখনোও না খেয়েই থাকেন।প্রতিদিন তাদের ভাবতে হয় অাগামিকাল কি খাব? কিভাবে জোগাড় হবে খাবারের? মুখে প্রতিনিয়ত তাদের টেনশনের ছাপ।টেনশন অার দারিদ্রতার মাঝে অনেকেরই নুয়ে পড়েছে শরীরটা।

    অাজও প্রতিনিয়তই ভাগ্যের পেছনে দৌড়ে যাচ্ছেন একটু সুখের অাশায়।নিষ্ঠুর ভাগ্য,অাজও ধরা দেয়নি তাদের জন্য।
    তাদের অভিযোগ সমাজের বিত্তবান ও সরকারের উচ্ছপদস্থ কর্মকর্তারা নজর দিচ্ছেন না তাদের দিকে।
    অামরা সরকারের কাছে অাজও তাদের জন্য একটু সহায়তা ও দৃষ্টিপাত কামনা করছি।সরকারকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি প্রত্যেকটি রেলওয়ে স্টেশনের দরিদ্র মানুষ গুলোর দিকে একটু নজর দেয়ার জন্য।