অস্ত্র রপ্তানিতে চীন বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে উঠে এসেছে

    0
    461

    অস্ত্র রপ্তানির দিক দিয়ে চীন প্রথমবারের মতো বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যকে সরিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি চীন এখন অস্ত্রের বাজারেও পঞ্চম স্থানে রয়েছে। চীনের সবচেয়ে বড় গ্রাহক পাকিস্তান। সুইডেনভিত্তিক একটি থিংক ট্যাংকের বরাত দিয়ে আজ সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
    অস্ত্র রপ্তানির দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পর যথাক্রমে রয়েছে রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স।
    বিশ্ববাজারে প্রচলিত অস্ত্রের অনিয়মিত বিক্রি নিয়ন্ত্রণে একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছাতে নিউইয়র্কে ১৫০টি দেশ আজ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। বিশ্বে বর্তমানে সব ধরনের প্রচলিত অস্ত্রের সাত হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য রয়েছে।
    স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানায়, গত পাঁচ বছরের তুলনায় ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত চীনের অস্ত্র রপ্তানি ১৬২ শতাংশ বেড়েছে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে অস্ত্র বাণিজ্য ২ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১২-এই সময়ে অস্ত্র রপ্তানিকারক শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্যের স্থান দখল করে নিয়েছে চীন।
    এসআইপিআরআই আর্মস ট্রান্সফারস প্রোগ্রামের পরিচালক পল হলটম এক বিবৃতিতে বলেন, অস্ত্রের চাহিদা রয়েছে-এমন গ্রাহক দেশগুলোর কাছে চীন নিজেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে।
    বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সালের স্নায়ুযুদ্ধের পর চীন প্রথমবারের মতো অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে পাঁচে উঠে এসেছে।
    এসআইপিআরআই জানায়, চীনের প্রায় ৫৫ শতাংশ অস্ত্র রপ্তানি করা হয় পাকিস্তানে। ভবিষ্যতেও পাকিস্তান চীনের সবচেয়ে বড় গ্রাহক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানের কাছ থেকে চীন যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন ও রণতরী নির্মাণের মতো অস্ত্র সামরিক সরঞ্জাম তৈরির ফরমাশ পেতে পারে।
    চীনের কাছ থেকে মিয়ানমার ৮ ও বাংলাদেশ ৭ শতাংশ অস্ত্র কেনে। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে আলজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং মরক্কো চীনের তৈরি রণতরী, বিমান অথবা সাঁজোয়া যান ক্রয় করেছে।
    বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, চীনের তৈরি কিছু অস্ত্র এখন রাশিয়া বা পশ্চিমা বিশ্বের তৈরি অস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করা যায়।
    অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ-বিষয়ক প্রচারক ও মানবাধিকার-বিষয়ক আইনজীবীরা জানান, অস্ত্র-সংক্রান্ত সহিংসতার শিকার হয়ে বিশ্বে প্রতি মিনিটে একজন নিহত হন। তাই এ অনিয়ন্ত্রিত অস্ত্রের প্রবাহ এবং গোলাগুলি বন্ধে একটি চুক্তির প্রয়োজন।
    বর্তমানে বিশ্ববাজারে সাত হাজার কোটি ডলারের প্রচলিত অস্ত্রের অনিয়মিত বিক্রি রয়েছে। এ অনিয়ন্ত্রিত বিক্রি বন্ধের বিষয়ে ২০১২ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি খসড়া সম্মেলন হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন এ ব্যাপারে সময় চাইলে সম্মেলনটি ভেস্তে যায়। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘ এ ব্যাপারে আলোচনায় বসার জন্য আজকের তারিখ ঠিক করে।
    যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে একটি জোরালো চুক্তি চায়। কিন্তু এই চুক্তিতে বাধা দিতে ওবামা প্রশাসনকে চাপের মুখে রেখেছে দেশটির অস্ত্র ব্যবসার সমর্থক গোষ্ঠীর নেতৃত্বদানকারী ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনস। গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এই চুক্তির প্রতি শর্তসাপেক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একটি শক্তিশালী ও কার্যকর অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি করতে ওয়াশিংটন অঙ্গীকারবদ্ধ।

    "অস্ত্রের