সোলেমান আহমেদ মানিক, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনাসহ প্রধান সড়ক,কলেজ রোড ও ষ্টেশন রোডস্থ এলাকার জলাবদ্ধতা এখন সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে হাঁটু সমান হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সময় মতো ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় এই জলাবদ্ধতার সৃস্টি করেছে। তবে পৌরসভা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটা বৃষ্টির জন্য সময়িক জলাবদ্ধতা।
ঘুর্ণিঝড় নিসর্গ এর প্রভাবে বুধবার (৩ জুন) শ্রীমঙ্গলে দিনভরই হালকা, হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে করে শহরের কেন্দ্রস্থল চৌমহনা এলাকায় সারাদিনই কমবয়সী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তবে সন্ধ্যার পর পরই এ এলাকায় হাঁটু সমান পানিতে সড়কগুলো তলিয়ে যেতে দেখা গেছে। এসময় সাধারণ মানুষ ও ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন অনেকে।
শহরের কলেজ রোডের টেলিকম ব্যাবসায়ী ( ইরা টেলিকম ) মোঃ সেলিম আহমেদ জানান, করোনায় এমনিতেই দীর্ঘদিন ব্যাবসা বানিজ্যে স্থবির এর ভিতর শহরের রাস্তার এই অবস্থায় আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। তিনি প্রয়োজনের তুলনায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা কম থাকায় এ পরিস্থিতিকে দায়ী করেন। তিনি বৃষ্টিপাতে শহরে জনসাধারণের চলাচলের উপযুক্ত পরিবেশ ও নাগরিক সমস্যা গুলোর চিহ্নিত করে তার আশু সমাধানে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শ্রীমঙ্গল চৌমহনায় অবস্থিত আবাসিক হোটেল স্কাইপার্কের সত্ত্বাধিকারী মো. ইকরামুল ইসলাম জানান অল্প বৃষ্টিতেই পুরো চৌমহনা চত্বরে হাঁটু পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। শ্রীমঙ্গল পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পানি নিস্কাশনে বিলম্ব হয়। এতে করে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
মক্কা শপিং সিটির মোবাইল মিডিয়ার সত্ত্বাধিকারী সুমন দাশ জানান বৃষ্টিতে চৌমহায় পানি জমে থাকার কারনে দোকানে ক্রেতা আসতে পারছেন না। হাঁটু পানি মারিয়ে অনেকেই মার্কেটে প্রবেশ না করে ফিরে যান এতে মার্কেটের ব্যবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
শহরের সি এন জি পরিবহন ব্যাবসায়ী মো. আলমাস মিয়া ( রানা ) জানান, এমনিতেই আমরা করোনায় কাহিল, এখন জলাবদ্ধতার কারনে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। পৌরসভা ঠিকমত ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে রাস্তা তলিয়ে যাচ্ছে। প্রায়শই ইন্জিনে পানি প্রবেশ করে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। ফলে শহরে যাত্রী চলাচলে নানা বাঁধা বিড়ম্বনা লেগেই থাকে।
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল করিম জানান, ‘শহরের কোন ড্রেনমুখ বন্ধ নেই। সব পরিষ্কার করা। ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা সাময়িক। কিছু সময় পর পানি নিষ্কাশন হয়ে যায়। শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে’ বলে তিনি জানান।