অভিনব প্রতারনা-দূর্নীতিতে মত্ত চুনারুঘাটে ভূমি জরিপকারী প্রতিষ্ঠান

    0
    227

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭মে,ফারুক মিয়া: চুনারুঘাটে অবৈধ উপায়ে একজনের জমি অন্যের নামে রেকর্ড করে দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। ভূয়া দলিল, ভূয়া নামজারী করিয়ে সেটেমেন্ট কার্যালয়ের অসাধু কর্মীদের সাহায্যে অন্যের ভূমি জবরদখল করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদিন। এই প্রক্রিয়ায় একজনের পৈতৃক অথবা খরিদ সূত্রের মালিকানায় থাকা ভূমির ভূয়া মালিক সাজিয়ে হয়রাণী করেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষকে।

    এমন একটি ঘটনায় প্রতারিত হয়েছে উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের নিজ মাগুরউন্ডা হাজী বাড়ীর মৃত আলী হোসেনের পুত্র মরম আলী। একই গ্রামের এক ভূমি দস্যুর কবলে পড়ে হারাতে বসেছেন পৈত্রিক সম্পত্তির একাংশ। অনুসন্ধানে জানা যায়, জমিরি প্রকৃত মালিক মরম আলী পৈতৃক সম্পত্তিকে নিজের সম্পত্তি বলে দাবী করে গোপনে নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নেন।

    একই গ্রামের মৃত আয়াত উল্লাহর পুত্র মোঃ রুসমত উল্লা। বিগত ২০১৪ সনের জানুয়ারী মাসে উক্ত জমি সংক্রান্ত বিরোধ সালিশ বৈঠক নিষ্পত্তি হয়। বৈঠকের রায় অমান্য করে দখলবাজ রুসমত উল্লাহ দখল করে নেয়ার পায়তারা করে। রুসমত উল্লাহর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মরম আলী অরিরিক্ত হবিগঞ্জের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিগত ০৯/০৩/২০১৪ইং তারিখে দায়ের করা মামলায় উক্ত ভূমির উপর বিজ্ঞ আদালত ১৪৪ ধারা জারী করেন। মামলা করায় রুসমত উল্লাসহ ১১জন আসামী আরোক্ষিপ্ত হয়ে ্ওঠে এবং মরম আলীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করার অভিযোগ পাওয়া যায়। উপজেলার জোয়ার মাগুরউন্ডা মৌজার জে.এল নং- ৬০, নামজারী খতিয়ান নং- ২৯৪, খতিয়ান নং-৪২৭, দাগ নং- ৯৩৭, তিন শতক ভূমি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ রুসমত উল্লা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে নিজের নামে মাঠ পর্চা ও নামজারী করিয়ে নেন। বিগত ২০১৩ সনেও জমির বৈধ মালিক মরম আলী কমিরি খাজনা পরিশোধ করেন।

    অন্যদিকে জমির মালিক সেজে রুসমত উল্লাহ ভূমি অফিস ও সেটেলমেন্ট অফিসের অসাধু বার্তাদের যোগসাজশে ভূয়া দলিল করে জমি দখল দাবী করতে থাকেন। দখলদার হিসাবে নিজেকে জাহির করতে রুসমত উল্লাহ তার ভাউ আসমত উল্লাসহ তাদের পুত্র কন্যাদের নিয়ে ঐ ভূমিতে থাকা ডোবার মাছ তুলে নেয়, ডোবার পাড়ে থাকা বাঁশ ঝাড় কেটে নিয়ে যায়। প্রকাশ্য ও গায়ের জোরে রুসমত আলীর পরিবারের এমন আচরণে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হলেও সন্ত্রাসী ও অসৎ প্রকৃতির রুসমত আলীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না।

    এমনকি গ্রামের ময় মুরুব্বীরাও তাদের নিবৃত করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বিধায় অসহায় মরম আলী ও তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সুবিচার প্রার্থনা করে মরম আলী এখন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।