অবিলম্বে ধোপাযান ও যাদুকাটা নদীতে বালি পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার দাবি

    0
    295

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩জুনঃ সুনামগঞ্জ জেলা বারকি শ্রমিক সংঘ রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩৫৫ এর এক সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ধোপাযান ও যাদুকাটা নদীতে বালি পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। গত ২ জুন মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ধোপাযান চলতি নদী সংলগ্ন জিনারপুর বাজারে ২০ হাজার বারকি শ্রমিকের অন্নের সংস্থান ধোপাযান ও যাদুকাটা নদীতে বালু-পাথর উত্তোলনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বারকি শ্রমিক সংঘের জেলা সভাপতি মোঃ নাছির মিয়া।

    সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বাদল সরকার। সভায় বক্তব্য রাখেন বারকি শ্রমিক সংঘের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাইদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবদুল কাদির, আবদুল মন্নান, ব্যবসায়ী মোঃ মানিক মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, মহরম আলী প্রমূখ।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন দীর্ঘ ২১ দিন যাবত বালি-পাথর উত্তোলন করতে না পারায় বারকি শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নদীতে বালি পাথর উত্তোলন ছাড়া বারকি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বিকল্প কোন পথ নাই। শুধু বারকি শ্রমিক নয়, বালি-পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় লোড-আনলোড শ্রমিকসহ নদীর উপর নির্ভরশীল নানা পেশার জনগণের জীবিকা আজ সংকটের মুখে।

    এমনকি এলাকার বাজার-হাটও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। রুটি-রোজীর একমাত্র অবলম্বন বালি-পাথর উত্তোলন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ, তার উপর একেক জন শ্রমিকের এনজিওদের নিকট হতে গৃহিত ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি ২/৩ টি করে থাকায় শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ভোটের সময় নানারকম রং-বেরং–এর মার্কা নিয়ে নেতা-নেত্রীরা শ্রমিকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিলেও শ্রমিকদের এই চরম দুর্দিনে কেউ একটিবারের জন্যও খোঁজ নিতে আসেননি।

    এমন কি গত ২০ মে জেলা প্রশাসক বরাবর এবং ২৯ মে স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেও শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়নি। সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন আগামী ৬ জুনের মধ্যে বালি-পাথর উত্তোলনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে ৭ জুন সর্বস্তরের শ্রমিকের গণস্বাক্ষরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জিনারপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে।