অবহেলায় বিলুপ্ত জৈন্তিয়া রাজ্যের প্রত্ন সম্পদ রক্ষার উদ্যোগ  

    0
    460

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১আগস্ট,রেজওয়ান করিম সাব্বির:  ভারতবর্ষের শেষ স্বাধীন রাজ্যের ঐতিহাসিক স্থাপনার প্রত্ন সম্পাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা আর অবহেলায় জৈন্তিয়ার রত্ন ভাণ্ডার হতে হারিয়ে যাচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের পূরার্কীতি গুলো বিলুপ্ত ও বেদখল হতে শুরু করেছে। ২নং জৈন্তিয়াপুর ইউনিয়নের তিনটি পুরার্কীতির অন্যতম একটি পুরার্কীতি বর্তমানে বেদখলের আওতায় চলে যায়। পর্যটকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে এসকল পুরার্কীতি গুলো ধরে রাখতে জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দ্যেগে ও চাঙ্গীল বাজার ব্যবসায়ীদের সহযোগীতায় গতকাল ১১আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন চাঙ্গীল বাজারস্থ মেঘালিথিক পাথর গুলোর দখল মুক্ত করে।

    তাৎক্ষণীক ভাবে এগুলোকে সংরক্ষণ করতে বাঁশ পুতে সীমানা প্রচীর স্থাপন করে ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে দখল মুক্ত অভিযানে পরিচালনা করেন ইউপি সদস্য মোঃ জালাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য সুলেমান আহমদ, জৈন্তিয়া পুরার্কীতি সংরক্ষণ আন্দোলন কমিটির সদস্য সীমান্ত মিডিয়া লাইন এন্ড একাডেমীর আ লিক পরিচালক মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির, পুরার্কীতি সংরক্ষনের চট্টগ্রাম অ ল কুমিল্লার সাইট সুপার ভাইজার মোহাম্মদ আলী, চাঙ্গীল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আবু জাহের, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সহ সভাপতি আব্দুল লতিব, সদস্য আরব আলী, আব্দুর রহমান, জাকির হোসেন, এবাদ মিয়া, রানু বাবু প্রমুখ।

    এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন- আমার ইউনিয়নে জৈন্তিয়া রাজ্যের তিনিটি পুরার্কীতি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল মেগালিথিক পাথরের চেয়ার। সেই পাথর গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতায় এগুলো কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলো দেখতে দেশি বিদেশি পর্যটকরা এখানে আসে। এগুলোকে টিকিয়ে রাখলে তা পর্যটকদের জন্য আরও আর্কষণীয় হয়ে উঠবে। পুরার্কীতি টিকিয়ে রাখতে এবং দখল মুক্ত করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমি দখল মুক্ত করি। স্থানীয় ভাবে সংরক্ষনের জন্য তাহা বাঁশের বেড়া তৈরী করে সুরক্ষা করেছি। পর্যটকদের কাছে আর দৃষ্টি নন্দিত ভাবে আরও আকর্ষনীয় করতে আমার ইউনিয়ন পরিষদের হতে শিঘ্রই স্থায়ী সংরক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    সেইভ দ্যা হেরিটেজ এন্ড এনভারমেন্ট সিলেটের প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল হাই আল হাদি বলেন- পূরার্কীতি গুলো যারা ইতিপূর্বে দখল করেছে তারা তার অন্যায় কাজ করেছে। যাদের উদ্দ্যেগে জৈন্তিয়া রাজ্যের এসকল পূরার্কীতি গুলো সংরক্ষনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আমি ও আমার সেইভ দ্যা হেরিটেজ এন্ড এনভারমেন্ট এর পক্ষ থেকে অসংখ্য অগনিত ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে পুনরায় যাতে দখল না হয় সেদিকে সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহবান জানাই।