অবশেষে সার্জেন্ট সালাহ উদ্দিন কাজলের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত

    0
    197

    “ভাসমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য আলাদা একটি মার্কেট স্থাপন করা প্রয়োজন”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭জুন,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াঃ প্রশাসনের চেষ্টায় অবশেষে সুনামগঞ্জ শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত হলো। ঐ এলাকার ফুটপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে চলাচল করার কোনো উপায় ছিল না ভুক্তভোগী  শহরবাসিদের। প্রতিদিন শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপাতে কয়েকশ’ হকার ভাসমান দোকান দিয়ে মালামাল বিক্রি করতেন। স্থানীয় ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়কের ফুটপাতে ঠাসা ভিড় লেগে থাকতো।

    সুনামগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন কাজল জানান, প্রশাসনের নির্দেশে ও সুশীল সমাজের পরামর্শে ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। শহরের ডিএস রোড, কালীবাড়ি মোড়, স্টেশন রোড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, নতুন কোর্ট হাজীপাড়া পয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এখন থেকে ফুটপাতে কোনো দোকানপাট বসবে না। হকারদের দাবির মুখে প্রশাসন তাদের জন্য পুরাতন জেল রোড এলাকায় স্থান নির্ধারণ করলেও তারা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে সেখানে যেতে আগ্রহী নয়।

    সার্জেন্ট মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন কাজল আরো বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।  বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ফুটপাত তো দখলমুক্ত হলো কিন্তু বাজারে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করায় ফুটপাতে চলাচল করতে অসুবিধা হয়।  ডিএস রোড এলাকার বাসিন্দা উমর গনি বলেন, শহরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় মানুষজন চলাচলে শান্তি পাবে। এ কাজটি আরও আগে শুরু করতে পারলে ভালো হতো। ফুটপাত যেন আবার দখল হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। শহরের ফুটপাতকে দখলমুক্ত রাখতে সবার সম্মিলিত প্রয়াস ও সহযোগিতার প্রয়োজন। সুনামগঞ্জ জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী পীর মতিউর রহমান বলেন, সুষ্ঠু নগর ব্যবস্থার স্বার্থে ফুটপাত দখলমুক্ত থাকা উচিত। তবে ভাসমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাও প্রয়োজন।

    সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি খায়রুল হুদা চপল বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ ভালো। তবে ভাসমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য আলাদা একটি মার্কেট স্থাপন করা প্রয়োজন। রমজানের শুরুতেই প্রশাসন ও নাগরিকদের দাবির মুখে এই শহরকে ফুটপাত দোকানমুক্ত ও হকারমুক্ত করে রাস্তা প্রশস্ত রাখার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। মানুষের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে ট্রাফিক পুলিশ ইনচার্জ সার্জেন্ট মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন কাজলের নেতৃত্বে অবশেষে ফুটপাত দখলমুক্ত হয়।