অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা

    0
    215
    অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা
    অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা

    ঢাকা, ১৮ মে : সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচনকালীন অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা।
    গণভবনে শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেছেন বলে বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নিশ্চিত করেছেন।
    কার্যনির্বাহী সংসদের বিভাগীয় এবং সাংগঠনিক একাধিক সম্পাদক জানান, অন্তর্বতীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হলে সবাই ওই সরকারের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে থাকার পক্ষে মত দেন।  
    পাশাপাশি মন্ত্রীসভায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রাখার বিষয়েও সায় দেন তারা।
    অবশ্য সংলাপ নিয়ে দর কষাকষির মধ্যে প্রধান একটি বাংলা দৈনিক দু’দলের সূত্রের বরাত দিয়ে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রস্তাবিত সর্বদলীয় সরকারে বিএনপির আপত্তি না থাকলেও প্রধান নির্বাহীর পদে শেখ হাসিনাকে মানতে রাজি নয় তারা। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগও এ বিষয়ে ছাড় দিচ্ছে না।
    তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের বিরোধী দলের দাবি এবং তা নিয়ে সংলাপের আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার ১৪ দলের এক বৈঠকেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন খোদ শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। এই অবস্থায় সংলাপ নিয়ে দু’পক্ষের কথা চালাচালি কার্যত রাজনৈতিক কথোপকথনে পরিণত হয়েছে।
    আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে দশম জাতীয় সংসদ আগামী নির্বাচনের পাশাপাশি আগামী ৭ জুন ছয় দফা দিবস এবং ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।
    বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত ১৫ মে হয়ে যাওয়া বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের দেয়া মতামত উপস্থাপন করলে কার্যনির্বাহী সংসদ তা অনুমোদন করে।
    এছাড়া আগামী নির্বাচনী, বিরোধী দলের অবস্থান ও দলীয় অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন নেতা।
    প্রধান বিরোধীদলকে অন্তর্বতীকালীন সরকারের মন্ত্রীসভায় রাখার বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হলেও তাদের অবস্থান বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে মত দেন শীর্ষ নেতারা। অবশ্য কার্যনির্বাহী সংসদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলো সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করেছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েজন জানিয়েছেন।
    তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী তাদের সতর্ক করে বলেছেন- কারা কারা সভার সিদ্ধান্ত বাইরে প্রকাশ করে সেই তথ্য তার কাছে আছে।
    তবে প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেছেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত দুএক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করা হবে।

     পার্লামেন্টে আসেন আলোচনা করেন উঁকি দিয়ে চলে যাবেন না: প্রধানমন্ত্রী

    ঢাকা, ১৮মে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে সংসদে থেকে তাদের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি বলেন, পার্লামেন্টে আসেন, আলোচনা করেন। উঁকি দিয়ে চলে যাবেন না। দীর্ঘদিন অধিবেশন বর্জন করে আসা বিরোধী দল আগামী বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে শুক্রবার ইঙ্গিত দেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ।
    এর পরের দিন আজ শনিবার গণভবনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তাদের সংসদে থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
    আওয়ামী লীগ সভাপতি বিরোধী দলীয় নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেন, উনার একটা স্টাইল আছে, সংসদে এক দিনের জন্য আসেন, বিরাট বক্তৃতা দিয়ে চলে যান। পত্রিকায় দেখলাম, ৭ দিন যদি পার্লামেন্টে না যায়, তাহলে উনাদের সদস্য পদ চলে যাবে। ৯০ দিনের মধ্যে ৮২ চলে গেছে।
    আইন অনুযায়ী, সংসদে একটানা ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। বিএনপির সংসদ সদস্যরা আগামী অধিবেশনে যোগ না দিলে তাদের সদস্যপদ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
    আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে দাবি করে আসা বিএনপিকে সংসদেই তাদের প্রস্তাব দিতে আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
    তবে একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, আমি এখনো বলছি, অন্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই আমাদের দেশে নির্বাচন হবে।
    বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার চাইলেও অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় বসাতে নারাজ আওয়ামী লীগ সভাপতি সর্বদলীয় একটি সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
    নিদর্লীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধী দলকে হুঁশিয়ারও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
    গণতান্ত্রিক ধারা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আমরা কাউকে দেবো না। খুন, হত্যা,  ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। না হলে এগুলো কীভাবে কঠোরভাবে দমন করা যায়, তা আমরা জানি।