অন্তঃসত্ত্বা মায়ের আচরন সন্তানের জীবনে প্রভাব ফেলে

    0
    225

    আমারসিলেট 24ডটকম,১০অক্টোবর :ধর্মীয় ভাবে বলা হয়  অন্তঃসত্ত্বা মায়ের সকল আচরন তার সন্তানের জীবনে প্রভাব ফেলে যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বা হতাশাগ্রস্ত হন, তবে সেটা তার গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষকরা আজ গবেষনা করে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বা হতাশাগ্রস্ত হলে যে তার পরিণতি ভয়াবহ এবং যে  কোন সময় তো বটেই, সন্তান পেটে থাকার সময় মাকে অবশ্যইএ ব্যাপারে সতর্ক থেকে  উচ্ছ্বল প্রাণবন্ত ও হাসিখুশি থাকতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। কারণ, গর্ভধারিণী মা যদি বিষাদগ্রস্ত থাকেন, সন্তান যখন বড় হবে তখন তার মধ্যে বিষন্নতার সমস্যা ঢুকে পড়ার সমূহ ঝুঁকি থাকবে। বৃটেনের ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্প্রতি এক গবেষণায় এ যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন।

    গবেষকরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় মা যদি কোন কারণে হতাশায় ভোগেন, তবে সম্পূর্ণ মানসিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় মাঝে মধ্যেই কোন না কোন কারণে মন খারাপ হলে, চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বাঞ্ছণীয়। আর, যদি দীর্ঘদিন ধরে মা হতাশাগ্রস্ত থাকলে, তা সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আরও ভয়াবহ। গবেষকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকা মায়েদের সুচিকিৎসার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সন্তানের এ ধরনের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ৮ হাজারেরও বেশি মায়ের সন্তানদের পর্যবেক্ষণের পর এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। স্বাভাবিকভাবে, কোন সন্তান ১৮ বছর বয়সে যতোটা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে, বিষন্ন  মায়ের সন্তানদের ক্ষেত্রে সেই ঝুঁকিটা ১ দশমিক ৩ গুণ বেশি। তাই সময় থাকতে সচেতন ও সতর্ক হওয়া এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।