অনেক প্রার্থীর হফলনামা পাওয়া যায়নিঃড.বদিউল আলম

    0
    215

    আমারসিলেট24ডটকম,২৫ফেব্রুয়ারীঃ দলীয় সমর্থন দেয়ায় উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত হচ্ছে বলে মনে করছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। এ নাগরিক সংগঠনটি বলেছে, রাজনৈতিক দলের সমর্থন থাকায় নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তথ্য তুলে ধরে সুজন।

    সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আইন অনুযায়ি নির্বাচন কমিশন হলফনামা সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য নয়। অসহযোগিতার কারণে অনেক প্রার্থীর হফলনামা পাওয়া যায়নি। হলফনামা দেয়া তথ্যাদি লিফলেট আকারে প্রচারের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

    সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে সুজনের সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক বলেন, দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন বা সমর্থন না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সুজন বারবার আহ্বান জানালেও এটি এখনো অব্যাহত। পাশাপাশি একক প্রার্থী নির্ধারণের জন্য মনোনীত বা নির্ধারিত প্রার্থী ছাড়া অন্যদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। প্রথম দফা নির্বাচনের পর এ চাপ আরো বাড়ছে। এটি সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।

    তিনি বলেন, দলভিত্তিক প্রার্থী মনোনয়ন বা সমর্থন প্রদান, চাপ সৃষ্টি করে কোনো প্রার্থীকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য করা বা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে দল থেকে বহিষ্কারসহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিরবতা আমাদের বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানায় সুজন।

    অপর দিকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উল্লেখ করে সুজন জানায়, কোথাও কোথাও বিরোধীদল সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকদের পুলিশী হয়রানি, হুমকি দেয়া ও এলাকাছাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে। দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে কমিশনের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

    সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ি প্রার্থীদের মধ্যে বার্ষিক আয় দুই লাখের নিচে ১৫৫ জনের। এক কোটির ওপরে ছয় জনের। অধিকাংশ প্রার্থীর আয় পাঁচ লাখ বা তার নিচে।  প্রার্থীদের মধ্যে সম্পদ পাঁচ লাখের নিচে ৭১ জনের, পাঁচ কোটির ওপর ১৪ জনের। কোটিপতির সংখ্যা ৭৪ জন। প্রার্থীদের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে ৭৯ জনের, স্নাতক ১৫১ জন, স্নাতকোত্তর ৯৭ জন। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পেশা হিসেবে কৃষি দেখিয়েছেন ১০৬, ব্যবসা ২৮৯ জন। বাকিরা অন্যন্য পেশায় জড়িত।