অনলাইন সাংবাদিকতায় মহিলা সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় উদ্বেগ

    0
    234
    জুমান হোসেনঃ সাংবাদিকরা তাদের সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় অনলাইনে  হুমকির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত ।কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর কোর্টনি র্যাডশের মতে অনলাইনে হয়রানির শিকার হওয়া  মহিলা সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ও উদ্বেগের কারন।
    ব্রায়ান(সিএনএন) বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংস্থাগুলির এই ধরনের আচরণ প্রশমিত করতে তাদের প্ল্যাটফর্মগুলি পর্যবেক্ষণে ভূমিকা রাখতে হবে।
    র‌্যাডসচ এর মতে “কাউকে  ব্লক করা  যথেষ্ট নয়, আমরা এই হুমকির মুখোমুখি  কিনা তা জানতে হবে এবং প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে আমাদের আরও সক্রিয় প্রতিক্রিয়া দরকার।”
    এক জরিপে দেখা গেছে ৮৫ ভাগ  মহিলা সাংবাদিকরা গত ৫ বছর আগের চেয়ে বেশী  নিরাপত্তাহীনতায় শিকার।
    উত্তরদাতারা বলেছেন যে তারা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় শিকার হচ্ছেন অনলাইনে।  অনেকই জীবননাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
    ডিজিটাল স্পেসে সাংবাদিকদের জন্য হুমকি ক্রমেই বাড়ছে। একারণে অনলাইনে যোগাযোগ এবং তথ্য রক্ষায় তাদের বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া দরকার।

    কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিপদের গভীরতা জেনেও সাংবাদিকরা কোনো ধরনের মৌলিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।

    “ছোট একটি পদক্ষেপ আনতে পারে বিরাট পরিবর্তন” শ্লোগানে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি ডিজিটাল  নিরাপত্তা গাইড প্রকাশ করেছে ররি পেক ফাউন্ডেশন। এই নির্দেশিকা তৈরির সময় বিষয়-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করেছে জিআইজেএন।

    পিডিএন পালসের  বলেন, “কেউ কখনো বলতে পারবেন না, তিনি শতভাগ নিরাপদ। কিন্তু কিছু মৌলিক পদ্ধতি অনুসরণ করে. যে কেউ ইন্টারনেটের ৯০ থেকে ৯৫  শতাংশ ব্যবহারকারীর তুলনায় নিজেকে আরো নিরাপদে রাখতে পারেন। এই নিরাপত্তা অনেক দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে ।”

    ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রবার্ট গুয়েরার সংক্ষিপ্ত সুপারিশ দিয়ে শুরু করছি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বেশির ভাগ সাংবাদিক ইন্টারনেট নিরাপত্তার জন্য ন্যূনতম সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন না।

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এনজিও কর্মী এবং সাংবাদিকদের “নিরাপদ যোগাযোগ এবং তথ্য ‍সুরক্ষার” উপর প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন গুয়েরা। তাঁর মতে, অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসাবে পরিচিতি পেলে, অনেকেই ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে আপনার ব্যক্তিগত এবং অনুসন্ধানী রিপোর্টের তথ্য চুরির চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, “প্রথমে ঝুঁকি সম্পর্কে জানুন, তারপর কায়দা-কানুনগুলো শিখুন।এমন কিছু সহজ পদ্ধতি আছে, যা চাইলেই যে কেউ অনুসরণ করতে পারেন।” তথ্যঃ সিএনএন, রাইসিনবিডি২৪